রামু প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের রামুতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় রামু কলেজগেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, রামু উপজেলার চাকমারকুল তেচ্ছিপুল এলাকার মৃত আহমুদর রহমানের ছেলে শহীদুল ইসলাম (৩০) ও গিয়াস উদ্দিন (২০) এবং উমখালী এলাকার মৃত ইসমাইলের ছেলে এবাদুল্লাহ (২৮)।
আহত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রামু কলেজ গেইগের পাশের তাদের কৃষি জমি রয়েছে। ওই জমিতে শ্রমিকরা আগাছা পরিস্কার করছিলেন। শ্রমিকদের জন্য ভাত নিয়ে যাওয়ার পথে শহীদুল্লাহকে আক্রমন করে কলেজ গেইট এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মুন্না সহ আরো ৩/৪জন। এসময় মুন্না শহীদুল ইসলামের পিটের নিচে সজোরে ছুরিকাঘাত করলে সে মাটিতে লুটে পড়ে। এসময় ধান খেতে কর্মরত শহীদুল্লাহর ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন, এবাদুল্লাহ শহীদুল ইসলামকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে মুন্নার সহযোগিরা তাদেরও ছুরিকাঘাত করে। এবাদুল্লাহর পিটে এবং গিয়াস উদ্দিনের পেঠে ছুরিকাহত হলে তারাও মাটিতে লুটে পড়ে। পথচারি ও আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হামলায় জড়িত মুন্নার অন্যান্য সহযোগিরা হলেন, রামু কলেজগেইট এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে কলিম উল্লাহ, গুরা মিয়ার ছেলে ছিদ্দিক আহমদ ও মোস্তাক আহমদের ছেলে নুর নবী।
এদিকে আহত শহীদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা শহীদুল ইসলামকে সজোরে ছুরিকাঘাত করলে তা তার দেহের ৫ ইঞ্চি ভিতরে প্রবেশ করে এবং ছুরির অর্ধে ভেঙ্গে দেহের ভিতের রয়ে যায়। আজ বিকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আড়াই ঘন্টা অপারেশন চালিয়ে চিকিৎসকরা ছুরিটি বের করতে সক্ষম হন। বর্তমানে আহতরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম ছুরিকাঘাত করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে আরো খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানান।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৩ যুবককে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় এলাকায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এলাকাবাসী অবিলম্বে ঘাতকদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহতদের স্বজনরা বিষয়টি তাৎক্ষনিক রামু থানাকে অবহিত করলে পুলিশ আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেয়ার তাগিদ দেন এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
এদিকে এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত